ব্যাক্তিগত নিরাপত্তায় ১০ টি টিপস মেনে চলুন।
আসসলামু অলাইকুম, কেমন আছেন সবাই?
আশা করি টিউন্স৭১ এর সাথে থেকে ভালোই আছেন। আজকের বিষয় : " ব্যাক্তিগত নিরাপত্তায় ১০ টি টিপস মেনে চলুন।"
So, Let's start now......
সোশ্যাল নেটওয়ার্কে আপনার প্রতিটি পদক্ষেপ ট্র্যাক করছে ডেটা লঙ্ঘনকাররি এবং বিপণনকারীরা। এতে করে আমরা অনেক ক্ষেত্রে বিরম্বনার সৃষ্টি হই। তাই ক্যাসপারস্কি টীম কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করতে বলেছেন সবাইকে।
মেয়েদের নামের তালিকা অর্থ সহ.alert-success
- সামাজিক গোপনীয়তা সেটিংস চেক করুন:
আপনার যদি সামাজিক অ্যাকাউন্ট থেকে থাকে তবে সেই অ্যাকাউন্টগুলি আপনার সম্পর্কে প্রচুর তথ্য রাখে এবং আপনি জেনে অবাক হয়ে যেতে পারেন যে আপনার এই তথ্য ডিফল্টরূপে ইন্টারনেটে সবার কাছে দৃশ্যমান। এ কারণেই আমরা আপনাকে আপনার গোপনীয়তা সেটিংস পরীক্ষা করার জন্য দঢ় ভাবে পরামর্শ দিচ্ছি। আপনি আপনার বন্ধু বা সম্পূর্ণ অপরিচিত ব্যক্তির সাথে আপনি কী তথ্য শেয়ার করতে চান তা সিদ্ধান্ত নেওয়া আপনারই দায়িত্ব, এমন কোনো কিছু তথ্য শেয়ার করা থেকে বিরত থাকুন যাতে করে আপণাকে কোন বিড়ম্বনায় পড়তে না হয়।
২.ব্যাক্তিগত তথ্য রাখতে পাবলিক স্টোরেজ গুলো প্রত্তাহার করুন।
আপনার ব্যক্তিগত ডেটা সঞ্চয় করার জন্য অনলাইন পরিষেবা গুলি ব্যবহার না করাই উত্তম । উদাহরণস্বরূপ গুগল ডক এবং ড্রপবক্স এগুলি আদর্শ জায়গা নয় আপনার পাসওয়ার্ডের, জরুরী ডকুমেন্, পাসপোর্ট, জাতীয় পরিচয়পত্র ইত্যাদি গুরুত্ব পূর্ণ তথ্য এই সব ড্রাইভে না রাখাই ভালো। যদি তারা এনক্রিপ্ট এর সুবিধা দিয়ে থাকে তাহলে এই সব তথ্য রাখা যেতে পারে। আইটি তথ্য বিশ্লেষক তাসু বলেছেন যে, এ ক্ষেত্রে আপনার করণীয় হল এই সব তথ্য কে ফোল্ডার এ রেখে সেই ফোল্ডার কে জীপ ফাইল এ রূপান্তর করা ফাইল শেয়ারিং সাইট গুলাতে আপলোড করে রাখাই উত্তম।
৩.ট্র্যাকিং এড়ানো
আপনি যখন কোনও ওয়েবসাইট পরিদর্শন করেন তখন আপনার ব্রাউজারটি আপনাকে এবং আপনার সার্ফিংয়ের সমস্ত হিস্টোরি ট্রাক করে, পরে এই সব তথ্য গুলি বিভিন্ন বিপণনকারীরা তাদের নিজেদের কাজে ব্যাবহার করে। ভিবিন্ন সময় এই সকল তথ্য দিয়ে আপনাকে লক্ষ্যবস্তু করে আপনার কাছে
বিজ্ঞাপন প্রদান করে। এইসব বিরক্তকর বিজ্ঞাপন প্রতিরোধ করতে আপনার উচিত ইনকোণ্টীগো বা ছদ্মবেশী মোড ব্যাবহার করা। তাইলে তারা এই ধরনের ট্র্যাকিং পরবর্তীতে করতে পারবে না। ইন্টারনেটে এসব ট্র্যাকিং এড়াতে এবং ব্যক্তিগত সুরক্ষায় জন্য ক্যাসপারস্কি ইন্টারনেট সিকিউরিটি ব্যবহার করুন এবং ওয়েব ট্র্যাকিং থেকে আপনাকে রক্ষা করতে পারে এমন টুলস সম্পর্কে আরও জানুন।
৪.আপনার ইমেল এবং ফোন নম্বর ব্যক্তিগত রাখুন
আপনার ইমেল এবং ফোন নম্বর শেয়ার করার জন্য আপনি পুরষ্কার পেয়েছেন? এ জাতীয় স্প্যাম ইমেইল আপনার ইমেইলের ইনবক্সে এবং আপনার ফোনে প্রচুর পরিমাণে আসবে, এদের হাত থেকে বাঁচার উপায় হল আপনার মূল ইমেল ঠিকানা এবং ব্যক্তিগত ফোন নম্বর কোথাও শেয়ার না করা। এমনকি ইন্টারনেট পরিষেবা,সামাজিক নেটওয়ার্কগুলি এবং অনলাইন স্টোরের সাথে এই সকল তথ্য শেয়ার না করা। যদি অনলাইন শপিং এবং অপরিচিতদের সাথে আপনার ডেটা শেয়ার করা প্রয়োজন হয় তার জন্য একটি পৃথক ফোন নম্বর বা ইমেইল ব্যবহার করুন ।
৫.সুরক্ষিত পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন
আপনার ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষিত করার জন্য দুর্বল পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। আপনার ব্যবহৃত সমস্ত পরিষেবার জন্য দীর্ঘ পাসওয়ার্ড ব্যাবহার করুন। আপনাকে অবশ্যই 12 টি অক্ষর এর বেশি তৈরিকৃত্ত পাসওয়ার্ড সর্বত্র ব্যবহার উত্তম হবে। প্রতিটি একাউন্ট এর জন্য আলাদা পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন।পাসওয়ার্ডগুলিকে আরও সহজ করে তুলতে ক্যাসপারস্কি পাসওয়ার্ড ম্যানেজার ব্যবহার করতে পারেন। আইটি তথ্য বিশ্লেষক তাসু বলেছেন যে পাসওয়ার্ডটি হতে হবে অবশ্যই বিভিন্ন ক্যারেক্টার ,সিম্বল, আলফা নিউমেরিক মিলে একটি ইউনিক পাসওয়ার্ড তৈরি করা। যেমন %Yp7j12^hpUL.
৬.এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশন সহ বার্তাপ্রেরণ অ্যাপ্লিকেশনগুলি ব্যবহার করুন।
আধুনিক মেসেজিং অ্যাপ্লিকেশনগুলি বেশিরভাগ এনক্রিপশন প্রযুক্তি ব্যবহার করে ফলে মেসেজিং পরিষেবা সরবরাহকারীরাও আপনার কথোপকথনগুলি দেখতে পায় না। তাই সবার উচিত এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন সহ একটি বার্তা অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করা – উদাহরণস্বরূপ, হোয়াটসঅ্যাপ। ফেসবুক ম্যাসেঞ্জার, টেলিগ্রাম এবং গুগল অ্যালো এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন ব্যবহার করে না। এই সব সেবা চালু করতে চাইলে ম্যানুয়ালি একটি গোপন চ্যাট বক্স ওপেন করতে পারেন।
৭.মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন এবং ব্রাউজার এক্সটেনশনের জন্য পারমিশন চালু করুন।
বর্তমান মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনগুলি তাদের ডিভাইস স্টোরেজে থাকা কন্টাক্ট বা ফাইলগুলিতে অ্যাক্সেসকরা এবং ক্যামেরা, মাইক্রোফোন, জিপিএস আরও কিছু ব্যবহার করার জন্য আপনাকে অনুরোধ করে। এই সকল অনুমতিগুলি ছাড়া অ্যাপসগুলি কাজ করে না। তবে যাই হোক না কেন আপনি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনগুলিতে যে অনুমতিগুলি দেন তা খুব ভাল ভাবে পর্যালোচনা করে তার পর অনুমতি দিন। খুব বেশি প্রয়োজন না হলে ব্রাউজারের এক্সটেনশনগুলি ইনস্টল না করাই ভালো । আর যদি ইনস্টল দিয়েও থাকেন তাহলে আপনি যে অনুমতিগুলি দিয়েছেন সেগুলি যত্ন সহকারে চেক করুন। ইদানিং ব্রাউজারের এক্সটেনশানগুলির মাধ্যমে গুপ্তচরবৃত্তি বৃদ্ধি পেয়েছে, যা আপনার সমস্ত তথ্য, পাসওয়ার্ড, ইত্যাদি চুরি করে নিয়ে যেতে পারে। ৮.আপনার ব্যক্তিগত ফোন এবং কম্পিউটারকে পাসওয়ার্ড দিয়ে সুরক্ষিত রাখুন
কম্পিউটার এবং ফোনগুলিতে আমরা এখন প্রচুর পরিমাণে ডেটা সেভ করে রাখি এবং সচারচর ডেটা গুলিকে ব্যক্তিগত রাখতে চাই, তাই পাসওয়ার্ড দিয়ে সুরক্ষিত রাখা উচিত। এই পাসওয়ার্ডগুলি জটিল হতে হবে, তা না হলে অপরিচিত লোকদের কাছে ডাটা চলে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। মোবাইল ডিভাইসে, চারটি সংখ্যার পিন এবং স্ক্রিন-লকের চেয়ে ছয়-অঙ্কের পিন বা পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন। বায়োমেট্রিক ডিভাইসগুলির জন্য – আঙুলের ছাপ দেয়া ভাল। তবুও মনে রাখতে হবে যে এই প্রযুক্তির সীমাবদ্ধতা রয়েছে। আপনার ফোন, ট্যাবলেট এবং কম্পিউটারগুলি লক করতে পাসওয়ার্ড বা বায়োমেট্রিক ব্যবহার করুন।
৯.লক স্ক্রিনে আসা বিজ্ঞপ্তিগুলো বন্ধ করুন
আপনার ফোনটিকে দীর্ঘ, সুরক্ষিত রাখতে পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন, তবে লক স্ক্রিনে বিজ্ঞপ্তিগুলি আসা বন্ধ করে রাখুন। লক স্ক্রীন থেকে সংবেদনশীল তথ্য লুকান।
১০. Wi-Fi নেটওয়ার্কগুলি ব্যক্তিগত রাখুন
পাবলিক ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্কগুলিতে সাধারণত ট্র্যাফিক এনক্রিপ্ট করা থাকে না, এর অর্থ একই নেটওয়ার্কের যে কেউ আপনার ট্র্যাফিকের উপর নজর রাখতে পারে। লগইন, পাসওয়ার্ড, ক্রেডিট কার্ড ডেটা, এবং আরও – এমন কোনও গুরুত্বপূর্ণ ডেটা পাবলিক ওয়াই-ফাইগুলোতে কখনই শেয়ার করা যাবে না। আপনার ডেটা এনক্রিপ্ট করার জন্য এবং অন্যের নজরদারী থেকে সুরক্ষিত থাকতে একটি ভিপিএন ব্যবহার করতে পারেন। সম্ভব হলে পাবলিক ওয়াই-ফাই ব্যবহার করা থেকে এড়িয়ে চলুন।
VPN কি, এর কাজ কি এবং VPN কেন দরকার – এসমস্ত বিষয় সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা।alert-success