যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় ফেসবুক ব্যবহারকারী কমছে
যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা ফেসবুকের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বাজার। অথচ এ দুটি বাজারেই ব্যবহারকারী হারাচ্ছে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমটি। করোনা মহামারির শুরুর দিকে ফেসবুক ব্যবহারকারী বাড়ার যে হার ছিল তা কমতে শুরু করেছে। ফেসবুক তাদের তৃতীয় প্রান্তিকের আয় ঘোষণার সময় জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার বাজারে তাদের প্রবৃদ্ধি কম। এ দুটি তাদের আকর্ষণীয় বিজ্ঞাপনের বাজার। বিজনেস ইনসাইডারের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বর্তমানে উত্তর আমেরিকায় ১৯ কোটি ৬০ লাখ ফেসবুক ব্যবহারকারী রয়েছেন। বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিক অর্থাৎ এপ্রিল থেকে জুন এ তিন মাসে সেখানে ব্যবহারকারী ছিলেন ১৯ কোটি ৮০ লাখ। অর্থাৎ তিন মাসে ফেসবুক ব্যবহারকারী কমেছে ২০ লাখের বেশি। ফেসবুকে এক বিবৃতিতে বলেছেন, ব্যবহারকারী কমার হার প্রত্যাশিত ছিল। এ বছরজুড়ে ফেসবুক ব্যবহারকারী কমার হার বজায় থাকতে পারে।
ফেসবুকের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রত্যাশা অনুযায়ী, বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় ফেসবুকের দৈনিক ও মাসিক সক্রিয় ব্যবহারকারী কমেছে। বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে করোনা মহামারির জন্য ব্যবহারকারী বেড়েছিল। বছরের চতুর্থ প্রান্তিকেও এ ধারা বজায় থাকবে। বছরের তৃতীয় প্রান্তিকের চেয়েও ব্যবহারকারী কিছুটা কমতে পারে।
বছরের শুরুর দিকে করোনাভাইরাস মহামারির কারণে লকডাউন শুরু হলে ফেসবুক ব্যবহারকারী ব্যাপক আকারে বেড়ে যায়। তবে বছর শেষ না হতেই চিত্র ভিন্ন। যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার ব্যবহারকারী কমলেও এশিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ব্যবহারকারী বেড়েছে।
ফেসবুক পরিবারের বিভিন্ন অ্যাপ যেমন ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ ও মেসেঞ্জারকে তুলে ধরা হচ্ছে। ফেসবুকের তথ্য অনুযায়ী, সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ফেসবুকের সব অ্যাপগুলো দৈনিক ২৫৪ কোটি মানুষ ব্যবহার করছেন।
ব্যবহারকারী কমলেও ফেসবুকের আয়ে কোনো প্রভাব পড়েনি। বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে ২১ হাজার ৪০০ কোটি মার্কিন ডলার আয় করেছে ফেসবুক, যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ২২ শতাংশ বেশি। ফেসবুকের আয়ের পরিমাণ বিশ্লেষকদের পূর্বাভাসকেও ছাড়িয়ে গেছে।
বিশ্লেষকদের সঙ্গে আলাপকালে ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গ বলেছেন, মার্কিন নির্বাচনের আগে ফেসবুক প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। তবে তিনি নির্বাচনের পরদিন এ নিয়ে বিশৃঙ্খলার আশঙ্কা করছেন। কয়েক সপ্তাহ ধরে নির্বাচন ঘিরে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে ফেসবুক। এর মধ্যে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন বন্ধের মতো পদক্ষেপও রয়েছে।