keyword research কি? Best Keyword Research Tools
keyword research কি? Best Keyword Research Tools |
একজন ব্লগার বা ইউটিউবার হিসেবে, যদি আপনি কীওয়ার্ড রিসার্চ কি এবং কিভাবে কীওয়ার্ড রিসার্চ করতে হয়, এই ব্যাপারে না জেনে থাকেন, তাহলে হয়তো আপনার এই ক্যারিয়ারে অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে।
শুধু যে ব্লগার সেটি কিন্তু নয় যেকোন প্রকার ওয়েবসাইট & ইউটিউব চ্যানেল প্রতিটি ক্ষেত্রে Keyword Research অত্যান্ত জুরুরি।
- Related Post:কিভাবে ব্লগারে নিউজ পোর্টাল ওয়েবসাইট বানাতে হয়।
কিওয়ার্ড কি?
কিওয়ার্ড হলো এমন একটি শব্দ বা শব্দগুচ্ছ যা একটি আর্টিকেল বা একটি ওয়েব পেজের মূল বিষয়বস্তু কে নির্দেশ করে। অর্থাৎ কিওয়ার্ড হচ্ছে সেই সকল শব্দ বা শব্দগুচ্ছ যা ব্যবহার করে কোন একজন ব্যক্তি গুগল বা অন্য যেকোন সার্চ ইঞ্জিনের মাধ্যমে তার কাঙ্খিত পণ্য বা সেবা অনুসন্ধান করে থাকে।
উদাহরণস্বরূপ বলতে গেলে, মনে করুন, আপনি কফি তৈরি করবেন। কিন্তু কফি কিভাবে তৈরি করতে হয় সেটা আপনি জানেন না। সুতরাং কিভাবে কফি তৈরি করবেন সে বিষয়ে জানতে হলে আপনাকে হয়তোবা এই বিষয়ে কোন একটি আর্টিকেল পড়তে হবে অথবা একটি ভিডিও দেখতে হবে। যার জন্য আপনাকে এখন গুগল বা অন্য ইউটিউবে যেকোন সার্চ অপশনে এ বিষয়ে সার্চ করতে হবে।
এখন আপনি গুগলে গিয়ে “How to make a coffee?” লিখে সার্চ করলেন। অতঃপর কিভাবে কফি তৈরি করতে হয় সেই সম্পর্কে গুগল আপনাকে কিছু ওয়েবসাইট এর আর্টিকেল এবং ভিডিও প্রদর্শন করল।
অর্থাৎ “How to make a coffee?” লিখে সার্চ করার জন্য আপনি আপনার কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পেয়ে গেলেন। এখানে “How to make a coffee” হল একটি কিওয়ার্ড। আবার আপনি চাইলে শুধু “Coffee” লিখেও গুগলে সার্চ করতে পারেন, এক্ষেত্রে শুধু “Coffee” হবে একটি কিওয়ার্ড।
সহজ কথায়, keyword হল ওই সকল শব্দ বা শব্দ গুচ্ছ যা লিখে কেউ গুগল এ সার্চ করে। অর্থাৎ আপনি আপনার কাঙ্ক্ষিত ফলাফল এর জন্য গুগল বা অন্য যেকোন সার্চ ইঞ্জিনে যে শব্দ বা শব্দগুচ্ছ লিখে সার্চ করবেন সেটি হচ্ছে একটি Keyword।
আশা করি কিওয়ার্ড কি এই বিষয়ে মোটামুটি ধারনা দিতে পেরেছি। তাহলে চলুন আলোচনা করা যাক কিওয়ার্ড কত প্রকার এবং এর বিস্তারিত।
কিওয়ার্ড কত প্রকার?
কিওয়ার্ড কত প্রকার এই প্রশ্নের সঠিক কোন উত্তর নেই। বিভিন্ন বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে keyword এর প্রকারভেদ হয়ে থাকে। তবে কিওয়ার্ড মূলত দুই প্রকার।
1.Head terms Keyword
2.Long-tail keywords
Head terms Keyword এবং Long tail keyword কি এসম্পর্কে বুঝতে হলে উপরের উদাহরণটি দেওয়া যেতে পারে।
আপনি যদি গুগোল বা অন্য কোন সার্চ ইঞ্জিনে শুধু Coffee লিখে সার্চ করেন তাহলে সেটি হচ্ছে Head terms Keyword। অপরদিকে যদি How to make a coffee লিখে সার্চ করেন তাহলে সেটি হবে Long-tail keyword।
অর্থাৎ সোজা বাংলায়, ছোট ছোট মূল শব্দ কে Head terms Keyword বলে। এবং অনেকগুলো শব্দ একত্রে যুক্ত হয়ে যে শব্দগুচ্ছ বা বাক্যের ন্যায় গঠিত হয়ে থাকে সেটিকে Long-tail keyword বলা হয়। Head terms Keyword কে Short-tail keyword ও বলা হয়ে থাকে।
কিভাবে করতে হয় কীওয়ার্ড রিসার্চ করতে হয়?
আজকের এই অনলাইন ব্লগিং প্লাটফর্ম এক ধরণের বিসনেস (business) এর মতোই।
হাজার হাজার লোকেরা একি বিষয় বা niche নিয়ে ব্লগিং করা শুরু করছেন।
এতে প্রত্যেক ব্লগার (blogger) দের মধ্যে প্রচুর প্রতিযোগিতার (competition) সৃষ্টি হচ্ছে।কারণ আজকাল যেকোনো কীওয়ার্ড (Keyword), প্রশ্ন, বিষয় বা সমস্যা নিয়ে আপনারা গুগল সার্চ করলে গুগল আপনাদের অনেক ভালো ভালো সমাধান তার প্রথম পাতায় দিয়ে দেয়।
কিন্তু একি প্রশ্নের উত্তর বা সমাধান অনেকেরা তাদের ব্লগে পাবলিশ করার ফলে গুগল বা অন্য সার্চ ইঞ্জিন গুলির কাছে তথ্যের অনেক চয়েস (choice) রয়েছে।
তাই গুগল ও অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিন গুলি সব থেকে সেরা SEO friendly, user friendly, high quality কনটেন্ট থাকা ব্লগ বা ওয়েবসাইট গুলিকে তার সেরা ১০ রেজাল্ট (Top 10 Results) এ দেখিয়ে দেয়।
আর low quality, poor SEO optimization থাকা কনটেন্ট বা ব্লগ গুলিকে দ্বিতীয় পেজে দেখানো হয়।
ফলে গুগল এবং অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিন গুলির থেকে কেবল প্রথম পাতায় থাকা ব্লগ বা ওয়েবসাইট গুলি ট্রাফিক বা ভিসিটর্স পেতে থাকে।
তাই যদি আপনার ব্লগে গুগল বা অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিন থেকে ট্রাফিক ও ভিসিটর্স আসছেনা, তাহলে হতে পারে আপনি ভালো কোয়ালিটির আর্টিকেল লিখছেননা।
তাছাড়া নিজের লিখা আর্টিকেল গুলিতে সঠিক SEO optimization techniques ব্যবহার না করলেও সার্চ ইঞ্জিন থেকে ট্রাফিক পাওয়াটা কঠিক হয়ে পরে।
কিন্তু যদি আপনি ভালো কোয়ালিটির আর্টিকেল লিখছেন এবং সাথে সাথে ভালো SEO optimizations করেও সার্চ ইঞ্জিন থেকে ট্রাফিক পাচ্ছেননা তাহলে এর কারণ হতে পারে “কীওয়ার্ড রিসার্চ না করাটা“।
আপনি যদি “keyword research কি" এবং কিভাবে কীওয়ার্ড রিসার্চ করতে হয়, এই ব্যাপারে কোনো জ্ঞান না রেখেই আর্টিকেল লিখছেন, তাহলে এসইওর দিক দিয়ে এটা, আপনার সবচে বড় ভুল।
কিওয়ার্ড রিসার্চ কেন জুরুরি?
বলা হয়ে থাকে, সঠিক Keyword বিহীন আর্টিকেল – চালকবিহীন গাড়ির মত।
একটি ব্লগ বা আর্টিকেল এর জন্য সঠিক Keyword নির্বাচন করার প্রক্রিয়াই হলো কিওয়ার্ড রিসার্চ। কিওয়ার্ড কতটা গুরুত্বপূর্ণ সেটা জানতে হলে আপনাকে আগে জানতে হবে কিভাবে একটি ব্লগ বা আর্টিকেল রেঙ্ক করে? এবং কিভাবে একটি আর্টিকেল সার্চ ইঞ্জিনের প্রথম সারির ফলাফল গুলোর মধ্যে আসে?
খুব স্বাভাবিকভাবেই একটি বিষয় খেয়াল করুন, একটি ব্লগ বা আর্টিকেল সার্চ ইঞ্জিনের প্রথম সারির ফলাফল গুলোর মধ্যে আসতে হলে সর্বপ্রথম কোন ধাপ অতিক্রম করতে হচ্ছে?
ঠিক ধরেছেন, পাঠক এবং লেখকের উভয়ের ক্ষেত্রেই একটি ব্লগ বা আর্টিকেল এর শুরু হচ্ছে Keyword দিয়ে। যেমন একজন লেখক সর্বপ্রথম কিওয়ার্ড নির্বাচন করার মাধ্যমে তাঁর লেখার বিষয়বস্তু তৈরি করছে, আবার অন্যদিকে একজন পাঠক সেই কিওয়ার্ড দিয়েই গুগলে সার্চ করছে তার কাঙ্খিত ফলাফল এর জন্য।
অর্থাৎ লেখক এবং পাঠক দুই দিক থেকেই শুরুটা হচ্ছে Keyword থেকে।
সঠিক কিওয়ার্ড নির্বাচনের ক্ষেত্রে কিওয়ার্ড রিসার্চ এর গুরুত্ব অপরিসীম। একটি ইউটিউব, ব্লগ বা ওয়েবসাইটের মূল সম্পদ হচ্ছে ট্রাফিক বা ভিজিটর। আর আপনার ব্লগে এই ট্রাফিক বা ভিজিটর নিয়ে আসার ক্ষেত্রে কিওয়ার্ড রিসার্চ খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আপনি যদি সঠিক Keyword নির্বাচনে ব্যর্থ হন তাহলে আপনি ব্লগিং ক্যারিয়ারে ব্যর্থ হবেন।
কিওয়ার্ড রিসার্চ টুলঃ
যে সমস্ত অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে কিওয়ার্ড রিসার্চ করতে হয় সেগুলো কিওয়ার্ড রিসার্চ টুলস নামে পরিচিত। অনলাইন জগতে অনেকগুলো কিওয়ার্ড রিসার্চ টুলস রয়েছে যার বেশিরভাগই পেইড অ্যাপ্লিকেশন অর্থাৎ উক্ত অ্যাপ্লিকেশনগুলো ব্যবহার করার জন্য আপনাকে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ পরিশোধ করতে হবে।
তবে কিছু ফ্রী কীওয়ার্ড রিসার্চ টুলস রয়েছে যা ব্যবহার করার মাধ্যমে খুব সহজেই আপনি আপনার ব্লগ এর জন্য সঠিক Keyword নির্বাচন করতে পারেন।
ব্যবহার এবং জনপ্রিয়তার দিক থেকে বিবেচনা করে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কিওয়ার্ড রিসার্চ টুলস সম্পর্কে নিম্নে আলোচনা করা হল।
জনপ্রিয় কয়েকটি ফ্রি কিওয়ার্ড রিসার্চ টুলসঃ
- Google Trends ( Free)
- Ubersuggest tool (Free)
- Soovle (Free)
- KeywordTool.io (Free+Paid)
- Ahrefs Keywords Explorer (Paid)
- SEMrush (Paid)
- Moz Keyword Explore (paid)
- Keywords Everywhere (paid)
Keyword research করার tools ব্যবহার করে আর্টিকেলের জন্য নতুন নতুন ও লাভজনক কীওয়ার্ড বা বাক্য খুঁজে অবশই পাওয়া যায়।
এবং, প্রত্যেক প্রফেশনাল ব্লগাররা এই প্রক্রিয়া অবশই ব্যবহার করেন।
তবে, আরো কিছু অন্যান্য মাধ্যম রয়েছে, যেগুলি ব্যবহার করে আমরা লাভজনক এবং গুগলে অধিক সার্চ হওয়া key phrase বা বাক্য গুলির ব্যাপারে জেনেনিতে পারি তার মধ্যো জনপ্রিয় একটি Google auto suggest.
Google auto suggest কি?
যখন আমরা গুগল সার্চে কোনো শব্দ বা কীওয়ার্ড লিখি, তথন গুগল আমাদের সেই কীওয়ার্ড বা শব্দের সাথে জড়িত অন্যান্য অনেক বাক্যের বা key phrases এর পরামর্শ দেয়।
যেমনঃ আমি ওপরে কেবল “মোবাইল থেকে” কীওয়ার্ড টি লিখার পর, গুগল নিজে নিজে আমাকে সেই কীওয়ার্ড এর সাথে রিলেটেড আরো অনেক বাক্য, প্রশ্ন বা key phrase দেখিয়ে দিলো।
অবশ্যই গুগলের দ্বারা দেখানো এই ধরণের auto suggested key phrases গুলি টার্গেট করে যদি আমি আর্টিকেল লিখি তাহলে গুগল সার্চ থেকে প্রচুর ট্রাফিক ও ভিসিটর্স পাওয়ার সুযোগ আমার ব্লগের থাকবে।
কারণ গুগল এই ধরণের auto suggest key phrases কেবল তখন দেখায় যখন লোকেরা সেই বাক্য বা কীওয়ার্ড গুলি লিখে গুগলে প্রচুর সার্চ করেন।
মানে যেকোনো বাক্য, শব্দ, প্রশ্ন বা key phrase গুগলে অনেক পরিমানে সার্চ করা হলে গুগল সেগুলি তার auto suggested keyword এ দেখায়।
তাই এই ধরণের key phrase নিয়ে আর্টিকেল লিখলে অবশই গুগল থেকে ট্রাফিক পাবেন।
তাছাড়া google keyword planner tool ব্যবহার করে key phrase গুলির সঠিক সার্চ ভলিউম (search volume) জেনেনিতে পারবেন।
- আরো পড়ুনঃ এসইওঃ কিভাবে ওয়েবসাইট ও ইউটিউব এডসেন্স একাউন্ট খুলতে হয় এবং এডসেন্স এর জন্য আবেদন করতে হয়।
Google AdWords: Keyword Planner
গুগোল এর প্রোডাক্ট মানেই সাধ্যের মধ্যে সবটুকু সুখ। অর্থাৎ অনলাইন মার্কেটিং এর ভাষায় যেখানে কোন প্রকার অর্থ পরিশোধ না করেই সম্পূর্ণ ফ্রিতে সর্বোচ্চ সুবিধা পাবেন।
তবে তার মানে এই নয় বাজারে থাকা সবগুলো কিওয়ার্ড টুলস থেকে এটি বেস্ট। বরং যতগুলো ফ্রী কিওয়ার্ড টুলস রয়েছে তার মধ্যে Keyword Planner সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়।
আপনি যদি ব্লগিং বা কিওয়ার্ড রিসার্চের ক্ষেত্রে নতুন হয়ে থাকেন তাহলে Keyword Planner আপনার জন্য বেস্ট একটি মাধ্যম।
এখানে খুব সহজেই আপনি কোন প্রকার ঝামেলা ছাড়াই আপনার ব্লগ বা আর্টিকেলের জন্য সঠিক Keyword নির্বাচন করতে পারবেন।
গুগল কিওয়ার্ড প্ল্যানার এর মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন একটি কিওয়ার্ডের Average Monthly Searches, Competition, Ad Impression Share, Top of Page bid High/Low। আপনি চাইলে Settings থেকে নিদৃষ্ট দেশ এবং ভাষা ও সিলেক্ট করে দিতে পারেন।
Location, language এর সাথে সাথে, কোন মাসে বা সময়ে keyword টির চাহিদা কতটুকু ছিল সবটাই জেনে নেয়া সম্ভব এই টুলের ব্যবহার করে।
তাছাড়া এই টুলের আরো একটি গুন্ রয়েছে।
আপনার সার্চ করা শব্দ বা বাক্যের সাথে জড়িত (related) আরো অন্যান্য keywords এবং গুগলে তাদের সার্চের পরিমান সবটাই দেখিয়ে দেয়।
এতে আপনি আপনার কন্টেন্টে টার্গেট করা কীওয়ার্ড এর সাথে জড়িত আরো লাভজনক keywords যোগ করতে পারবেন।
আবার ভবিষ্যতের নতুন নতুন আর্টিকেল লিখার জন্য লাভজনক keyword ideas ও পেতে থাকবেন।
Google keyword planner টুল গুগলের একটি ফ্রি সার্ভিস।
তাই এই টুল ব্যবহার করার জন্য আপনার একটি Google account এর প্রয়োজন হবে।
Tool টিতে গিয়ে, “Discover new keyword ideas” অপশনে যেতে হবে।
তারপর আপনি যেই keyword নিয়ে research করতে চাচ্ছেন সেটা লিখে নিচে “Get results” অপশনে ক্লিক করতে হবে।
মনে রাখবেন, আপনি যদি বাংলা কীওয়ার্ড রিসার্চ করতে চাচ্ছেন, তাহলে ভাষাটি “English” থেকে “Bangla” অবশই করে নিতে হবে।
আমরা যখন বিভিন্ন টুলস ব্যবহার করে একটি কিওয়ার্ডের ফলাফল যাচাই করি তখন প্রায় সকল কিওয়ার্ড টুলস বিগত এক বছর বা কয়েক মাস এর উপর ভিত্তি করে একটি আনুমানিক তথ্য প্রদর্শন করে থাকে।
কিন্তু Google Trends গুগলের তৈরি এমনই একটি ব্রাউজার অ্যাপ্লিকেশন যার মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই জানতে পারবেন কোন দেশে কোন টপিকস এর উপর সবচেয়ে বেশি সার্চ করা হচ্ছে এবং সাম্প্রতিক সময়ে ট্রেন্ডিং টপিকস’ কোনটি।
অর্থাৎ আপনি যদি এই মুহূর্তে জানতে চান আমেরিকাতে কোন বিষয়ের উপর সবচেয়ে বেশি সার্চ করা হচ্ছে এবং সেখানকার সাম্প্রতিক ভাইরাল টপিক গুলো কি কি তাহলে Google Trends ব্যবহার করতে হবে।
গুগলের কীওয়ার্ড প্ল্যানার টুল এর পর আমি পরামর্শ দিবো “Ubersuggest tool” ব্যবহার করার।
কারণ keyword planner এর মতোই এই টুল সম্পূর্ণ ফ্রি এবং যেকোনো কীওয়ার্ড গুগলে মাসে কতবার সার্চ করা হয় তার সঠিক তথ্য আমাদের দিয়ে দেয়।
আপনারা ওপরে দেখতেই পারছেন আমি “how to start a blog” লিখে সার্চ করার পর টুলটি আমাকে দেখিয়ে দিলো যে মাসে ৬০,৫০০ বার এই কীওয়ার্ড গুগলে সার্চ করা হয়।
তাছাড়া SEO difficulty score এর মাধ্যমে কীওয়ার্ডটি ব্যবহার করে ট্রাফিক পাওয়াটা কতটা সহজ সেটাও আপনারা জেনেনিতে পারবেন।
মনে রাখবেন SEO difficulty score যতটাই কম হবে (২০ থেকে কম হলে ভালো) সেই কীওয়ার্ড এর মাধ্যমে গুগলে আর্টিকেল রাংক (rank) করানোটা ততটাই সহজ হবে।
Volume এর নিচে দেখতে পাচ্ছেন যে, কীওয়ার্ডটির প্রত্যেক মাস হিসেবে search volume দেয়া রয়েছে।
মানে বাক্যটি কোন মাসে গুগলে কতবার সার্চ হয়েছিল সেটাও আপনারা জেনেনিতে পারবেন।
এভাবে এই ফ্রি টুল ব্যবহার করে আপনারা যেকোনো keyword, শব্দ বা বাক্য গুগল সার্চে কতবার সার্চ করা হচ্ছে তার তথ্য পেয়ে যাবেন।
তার সাথে সাথে যেকোনো keyword কত সহজে গুগলে রাংক (rank) করানো যেতে পারে সেটাও জেনেনিতে পারবেন SEO difficulty score এর মাধ্যমে।
Keywords Everywhere মূলত একটি ব্রাউজার এক্সটেনশন। গুগল ক্রোমের পাশাপাশি আপনি এটি মজিলা ফায়ার-ফক্সে ও Add-on হিসাবে ব্যবহার করতে পারবেন।
এই এক্সটেনশন এর মাধ্যমে আপনি খুব সহজে গুগল সার্চ অপশনে যে কোন Keyword এর মান্থলি সার্চ ভলিউম সহ CPC ও কম্পিটিশন দেখতে পাবেন।
অর্থাৎ আপনার এর জন্য অতিরিক্ত কোন প্রকার টুলস এর প্রয়োজন নেই। শুধু মাত্র গুগল সার্চ রিজাল্টেই আপনি আপনার কাঙ্ক্ষিত কীওয়ার্ড এর সম্পূর্ণ বিবরণ পেয়ে যাবেন।
Keywords Everywhere ব্রাউজার এক্সটেনশন এর আরো একটি অন্যতম ফিচার হলো এখানে আপনি Google সার্চ রিজাল্টের মত People Also Search For এর মত গুরুত্বপূর্ণ ফিচার পেয়ে যাবেন। যার মাধ্যমে আপনি একটি কীওয়ার্ড এর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ অন্যান্য কীওয়ার্ড গুলো ও খুব সহজে পেয়ে যাবেন।
শেষ কথাঃ
পরিশেষে, এটাই জানা বা শেখা গেলো যে, ব্লগে যেকোনো আর্টিকেল লিখার আগে কীওয়ার্ড নিয়ে রিসার্চ এজন্যেই করা হয় যাতে, আপনার আর্টিকেলে লিখা বিষয় বা টার্গেট করা কীওয়ার্ড গুগলে কতটা সার্চ করা হয় তার সঠিক তথ্য আপনার কাছে থাকে।
যদি আপনি আগের থেকেই জেনে থাকেন যে, আপনি যেই বিষয় নিয়ে আর্টিকেল লিখছেন, সেই বিষয়ে গুগল সার্চে মাসে কতটা সার্চ হচ্ছে এবং কীওয়ার্ড টি নিয়ে গুগলে র্যাংক করাটা কতটা সহজ হবে তাহলে অবশই অনেক কম সময়ের মধ্যে আপনি গুগল থেকে প্রচুর ট্রাফিক পেয়ে যেতে পারবেন।
তাই, মনে রাখবেন যে ব্লগিং এবং SEO র দিক দিয়ে সব থেকে জরুরি এবং গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো “Keyword research” করাটা।