আপনার অজান্তে কেউ কি আপনার উপর নজর রাখছে?
কখনো কি মনে হয়েছে যে আপনার ফোনের ক্যামেরা অফ থাকা সত্বেও আপনাকে কেউ দেখছে, আপনার রুমের জিনিসপত্র দেখছে ? হাজার হাজার মাইল দূর থেকে আপনার ফোনের মাইক্রোফোন অন করে আপনার আশেপাশের ভয়েজ শুনে নিচ্ছে ? অদ্ভুত চিন্তাভাবনা না?
আপনি আপনার রুমে বসে ফোন ঘাটাঘাটি করছেন। ইন্টারনেটের এই যুগে আপনার লোকেশন ট্র্যাক করা খুব ইজি একটা ব্যাপার যেখানে ফেইসবুক, ইন্সটাগ্রাম, মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ সহ আরো অনেক এপ প্রতিনিয়ত আমাদের লোকেশন চেয়ে নিচ্ছে কিন্তু স্বয়ংক্রিয় ভাবে ক্যামেরা অন বা মাইক্রোফোনে ভয়েজ শুনতে পাচ্ছে বললে ব্যাপারটা অবিশ্বাস্য লাগে না?
২০১৩ সালে এডওয়ার্ড স্নোডেন , বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী গোয়েন্দ সংস্থা CIA, NSA এর অন্যতম সেরা গোয়েন্দা, ঠিক এমনটাই জানিয়েছেন । NSA এর অনেকগুলো গোপন নথি ফাসঁ করেছিলেন তিনি। কিভাবে মিলিয়ন মিলিয়ন মানুষকে ফোন, কম্পিউটার, ল্যাপটপ এর ক্যামেরা ও মাইক্রোফোনের মাধ্যমে লাইভ তাদেরকে ট্রেইস করে ও তাদের গতিবিধি নজর রাখে, কিভাবে প্রত্যেকের ব্যাক্তিগত জীবনের উপর নজরদারি করছে CIA ও NSA ।প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের ডেটা তাদের অজান্তেই সংরক্ষিত হয়ে যাচ্ছে খুব সিক্রেট কোন সার্ভারে। এসবের Highly Classified ডেটা ফাইল পাবলিকলি প্রকাশ করেছিলেন স্নোডেন।
২১ মে স্নোডেনের উপর Theft of Government Property এর অভিযোগে মামলা করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয় ও তার পাসপোর্ট বাতিল করা হয়। ১ জুলাই ২০১৩ বলিভিয়ার প্রেসিডেন্টের রাশিয়াগামী ফ্লাইট জরুরি অবতরন করানো হইছিল এই সন্দেহে যে সেই ফ্লাইটে করে স্নোডেন রাশিয়া পালিয়ে যেতে পারে। দুইদিনের মধ্যে স্নোডেন রাশিয়া পালিয়ে যায়। রাশিয়া সরকার তাকে আশ্রয় দেন। অবশেষে এতোদিন পর ডোনাল্ড ট্রাম্প গত শনিবার ১৫ ই আগস্ট এডওয়ার্ড স্নোডেন কে ক্ষমা বিবেচনায় দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করছেন।
সেপ্টেম্বর ২০১৬ সালে তার নামে মুক্তি পাওয়া ‘Snowden ‘ মুভিতে পরিচালক Oliver Stone অত্যন্ত সুক্ষ্মভাবে এসব ঘটনা তোলে ধরেছেন।