ওয়েবসাইট বা ব্লগে ভিজিটর বাড়ানোর ১০ টি কার্যকরী উপায়। Tunes71.com

ওয়েবসাইট বা ব্লগে ভিজিটর বাড়ানোর ১০ টি কার্যকরী উপায়।


ওয়েবসাইট বা ব্লগে ভিজিটর বাড়ানোর ১০ টি কার্যকরী উপায়।

ব্লগ বা ওয়েবসাইট থেকে আয়ের প্রধান শর্ত হলো ভিজিটর। আপনি যদি ওয়েবসাইট বা ব্লগ থেকে আয় করতে চান তাহলে আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইটে প্রচুর পরিমাণে ভিজিটর থাকতে হবে। 

মনে রাখবেন, ভিজিটর ছাড়া ব্লগ বা ওয়েবসাইটের কোন মূল্য থাকে না একেবারেই অর্থহীন হয়ে পড়ে। এই কারণেই আমরা বলে থাকি ভিজিটর হল ব্লগ বা ওয়েবসাইটের জন্য প্রাণ। 

সুতরাং  আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইট থেকে টাকা উপার্জন করার  প্রথম শর্ত হল আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটর আনা।


মনে করুন, আপনার একটা ওয়েবসাইট বা ব্লগ আছে যেখানে আপনি নিয়মিত লেখালেখি করেন। সেটা টাকা উপার্জনের জন্য হোক বা শিক্ষনীয় কিছু হোক, আপনার এত কষ্ট সফল হবেনা যতক্ষন না আপনার সাইটে ভিজিটর আসবে।যদিও ভিজিটর আনা সহজ কিছু নয় কিন্তু কিছু বিষয় লক্ষ করে আর্টিকেল লিখলে সহজেই আপনার পোস্ট গুগলের প্রথম পাতায় চলে আসবে এবং সেখান থেকে  অর্গানিক ভিজিটর আসবে।

আজ আমি আপনাদেরকে এই বিষয় নিয়েই আলোচনা করবো যে , কিভাবে আপনার সাইটে বা ব্লগে আশানুরুপ ভিজিটরে নিয়ে আসতে পারবেন খুব কম পরিশ্রমে এবং কম সময়ের মধ্যে।



এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনি ব্লগে বা ওয়েবসাইটে কিভাবে অর্গানিক ট্রাফিক বা ভিজিটর আনবেন তার ১০ টি কার্যকরি উপায় জানতে পারবে।আপনি  যদি আপনার ওয়েবসাইটে বা ব্লগে ভিজিটর বাড়াতে চান তাহলে ধৈর্য সহকারে  আর্টিকেলটিকে মনোযোগ দিয়ে শেষ পর্যন্ত পড়বেন।


তবে তার আগে ওয়েবসাইট এবং গুগল এডসেন্স নিয়ে আমাদের পোস্ট গুলো পড়ে আসতে পারেনঃ

  1. How to Create a adsense accounr? এডসেন্স সহজে Approve পাওয়ার উপায়।
  2. How to increase Bangladeshi Content's CPC or revenue ? 
  3. গুগল অ্যাডসেন্স এ CPC, Page RPM ও Page CTR কি?


ব্লগ বা ওয়েবসাইটে ভিজিটর কি? 

ভিজিটর বলতে ব্লগ বা ওয়েবসাইটের পাঠকদের বোঝায়।

মানে হচ্ছে, প্রতিদিন যে পরিমান পাঠক আপনার সাইটে আসে তারাই হচ্ছে আপনার সাইটের ভিজিটর।  সেটা হতে পারে Google Search, Social Media বা অন্য কোন উৎস থেকে।

আর অর্গানিক ভিজিটর বলতে মূলত Search Engine (Google, Bing,Yahoo,Yandex etc  search Engine)   এর মাধ্যমে যে ভিজিটর গুলো আপনার সাইটে আসে। 

আপনি গুগলে সার্চ করা হয় এমন কিছু পোস্ট যদি করতে পারেন তবে আপনার ব্লগিং থেকে ভালো আয় হবে।


অর্গানিক বা ইউনিক ভিজিটর না আসলে অ্যাডসেন্স এর সমস্যা হয়। অনেকেই ভিজিটর কিভাবে আনতে হয় জানে না  বিধায় অ্যাডসেন্স থাকলে তা লিমিট করে ফেলে।


ব্লগে পাঠকদেরকেই মূলত ভিজিটর হিসেবে বিবেচনা করা হয়।


ব্লগ বা ওয়েবসাইটে ভিজিটর বাড়ানোর প্রয়োজন কেন?

বর্তমানে আমাদের দেশে অনেকেই ব্লগিং করে মাসে হাজার হাজার টাকা ইনকাম করে।

আপনি যেকোন অনলাইক পত্রিকার কথাই ধরুন তারা পেপার বিক্রি করে যে টাকা পাচ্ছে তার থেকে বেশি টাকা আয় করছে অনলাইন পত্রিকা থেকে।

কারন এখানে পেপার ছাপানোর খরজ বা জনবলের খরজ নেই, প্রিন্টিং এর জন্য ব্যয় নেই।

ঝামেলা ছাড়াই আপনি আপনার লেখা পৃথীবির সবার মাঝে ছড়িয়ে দিচ্ছে আর বিজ্ঞাপন দেখিয়ে অনেক টাকা ইনকাম করে নিচ্ছে।



অর্থ্যৎ আয় বাড়ানোর জন্য ভিজিটর বাড়ানো ছাড়া  কোন বিকল্প নেই। বিভিন্ন ভাবে ব্লগে বা ওয়েব সাইটে ভিজিটর বাড়ানো হয়ে থাকে। আমি আজকের আর্টিকেলে ১৫টি কার্যকরি উপায় বলা এবং সেগুলো নিয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করবো। আশা করি আর্টিকেলটি পুরোটা পড়লে আপনি বিষয়টা বুঝতে পারবেন। 



ওয়েবসাইট বা ব্লগে ভিজিটর বাড়ানোর ১০ টি কার্যকরী উপায়ঃ

১.ইউনিক এবং তথ্যমূলক  আর্টিকেলঃ

ওয়েবসাইট বা ব্লাগে ভিজিটর আনার আবচেয়ে কার্যকারি উপায় হচ্ছে ইউনিক ও তথ্যমূলক কনটেন্ট।

কারন  গুগল সব সময় নতুন ইউনিক পোস্ট গুলোকেই  Index করে এবং গুগলের প্রথম পাতায় নিয়ে আসে।

আপনি যত বেশি ইউনিক  কনটেন্ট পাবলিশ করবেন আপনার ওয়েবসাইট তত বেশি গুগলে র‍্যাংক করবে।

উদাহরণঃ মনে করুন আপনার একটি দোকান আছে, ক্রেতারা অবশ্যই চাইবে ভালো জিনিস ক্রয় করতে এবং আপনার দোকানে যদি ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী  মালামাল থাকে তারা অন্য দোকানে যাইতে চাইবে না।

ঠিক তেমনি গুগল চায় তথ্যপূর্ণ ও ইউনিক কনটেন্ট, আপনি যদি তথ্যপূর্ণ ও ইউনিক কনটেন্ট পাবলিস করেন তাহলে অবশ্যই গুগল আপনার সাইটে বেশি গুরুত্ব দিবে।ফলে গুগলের প্রথম পাতায় আপনার ওয়েবসাইট চলে আসবে এবং ভিজিটর আশা শুরু করবে।

অন্যদিকে আপনি যদি অন্যর লেখা কপি করেন তাহলে ভিজিটর পাবেন না কারণ সাবাই চায় নতুন কিছু তেমনি গুগল ও নতুন কিছু চায় তাই যখন আপনি কপি করবেন গুগল দেখবে এই একই কনটেন্ট পূর্বে করা হয়েছিল তখন আপনার পোস্ট ইনডেক্স হবেনা,আপনি ভিজিটর পাবেন না।


তাই ইউনিক আর্টিকেল লিখতে পারলে অবশ্যই আপনি আপনার ওয়েবসাইটে অনেক বেশি ভিজিটর পাবেন এবং অর্গানিক ভিজিটরের জন্য আপনাকে ভালো মানের কী-ওয়ার্ড নিয়ে কাজ করতে হবে। কী-ওয়ার্ড রিসার্চ করে আপনি ইউনিক আর্টিকেল বের করে সেই বিষয়ে লিখতে পারেন। 


২।ইউজার ফ্রেন্ডলি প্রিমিয়াম থিমঃ

ইউজার ফ্রেন্ডলি থিম বলতে বোঝানো হয়েছে যে  সাইট গুলো পিসি , ল্যাপটপ , ফোন , ট্যাবলেট সবকিছুতেই সমান ভাবে লোড নিতে পারে এবং ডাটা রিসিভ করতে কোনো সমস্যা হয় না।


রেসপন্সিভ বা ইউজার ফ্রেন্ডলি থিম ব্যবহার করার ফলে ভিজিটরদের দৃষ্টি আকর্ষণ হয় যার ফলে প্রতিমাসে একটিভ ভিজিটর বেড়ে যায়। পিসি , ল্যাপটপ , ফোন , ট্যাবলেট সবকিছুর স্ক্রিন একই রকম হয় না , তাই  ওয়েবসাইট বানানোর আগে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে সাইট টি রেসপন্সিভ কিনা।


এখন আশা যাক প্রিমিয়াম থিম কিঃ

বিষয়টা সহজে বোঝানোর জন্য আপনি যখন কোন থিম ডাউনলোড করবেন তখন দেখে থাকবেন ফ্রি থিমে কিছু ফিচার দেওয়া থাকে না অন্যদিকে প্রিমিয়াম থিমে কিছু ফিচার যা আপনার ওয়েবসাইটের জন্য ভালো এমন কিছু ফিচার যুক্ত করা থাকে।

 আবার প্রিমিয়াম থিম ইউজার ফ্রেন্ডলি হয়ে থাকে বিধায় আপনি ওযেবসাইটের জন্য অবশ্যই এই প্রিমিয়াম থিম ব্যবহার করতে পারেন। অনেক সময় ফ্রি থিমগুলো অনেক বেশি কোড থাকে যার কারণে লোড নিতে সময় লাগে অনেক বেশি অন্যদিকে আপনি যদি প্রিমিয়াম থিম ব্যবহার করেন তবে কম সময়ে লোড নেওয়া সহ আরও কিছু সবিধা পাবেন। 


বর্তমানে অনেকেই প্রফেশনালভাবে ওয়েবসাইটের কাজ করছে আর যারা প্রফেশনাল ভাবে কাজ করছে তাদের জন্য সবচেয়ে কার্যকরি ও ভালো পদ্ধতি হলো প্রিমিয়াম থিম ব্যবহার করা। প্রিমিয়াম থিমের মালিক আপডেট করলে আপনার থিমটাও অটো আপডেট নেবে যেটা আপনার থিমের জন্য অনেক ভালো। 

অনেক সময় গুগল প্রিমিয়ামের থিমের আর্টিকেলগুলোকে বেশি মূল্যায়ন করে থাকে ফ্রি থিমের চাইতে। ধরুন একই নিশ নিয়ে আর্টিকেল লিখলেন একই ধরনের শব্দ বা দুইটাতেই ২ হাজার করে শব্দ এবং একটার থিম প্রিমিয়াম এবং আরেকটার ফ্রি তাহলে বলুন তো কোনটা উপরের দিকে থাকবে?

 উত্তরটা সহজ প্রিমিয়াম থিমের আর্টিকেলটা সবার উপরে থাকবে কারণ এটি পেইড থিম বিধায় এটা অনেক দ্রুত লোড নেবে এবং সার্চ করলে সেটা ভিজিটরকে আগে দেখাবে। 

তাই সেই ওয়েবসাইটে ভিজিটর ও বেশি আসবে।


আপনাদের জন্য আমরা ফ্রিতে প্রিমিয়াম থিম নিয়ে এসেছি,নিচে থেকে ডাওনলোড করে নিনঃ

  1. ডাউনলোড করে নিন HappyPonno.Com সাইটের ওয়ার্ডপ্রেস ই-কমার্স থিম একদম ফ্রি তে।
  2. Apriezt Responsive Magazinenews Blogger template .zip - New!
  3. Download Cyber blogger template Premium Version. New!
  4. Magify Premium blogger template Free download.
  5. Seoify Responsive Blogger Premium Template
  6. Songbad52- Professional Bangla Newspaper Blogger Template Free Download


৩। সার্চ ইন্জিন অপটিমাইজেশনঃ

SEO - যার পূর্ণরুপ হলো সার্চ ইন্জিন অপটিমাইজেশন  অনেকেই হয়তো বাংলা বললে বুঝতে পারে না।

যেকোনো ধরনের ব্লগ বা ওয়েবসাইটেই ভিজিটর বাড়ানোর অন্যতম প্রধান একটি উপায়  হচ্ছে সার্চ ইন্জিন অপটিমাইজেশন ( SEO ) । 

সার্চইন্জিন গুলোতে আমরা বিভিন্ন কী - ওয়ার্ড লিখে সার্চ করি , সার্চ রেজাল্টে প্রথমে যে ওয়েবসাইট গুলো আসে সেখান থেকে প্রথম ২ - ৩ টা ওয়েবসাইটেই আমরা সাধারনত ভিজিট করে থাকি।

আমরা কখনই নিচে আসা সার্চ ফলাফল গুলো পড়তে চায় না। কারণ সকলে বিশ্বাস করে গুগলে সার্চ করলে যেটি প্রথমে আসবে সেটিই হবে সেরা আর্টিকেল।

সার্চ ইন্জিন অপটিমাইজেশন ( SEO ) এর মূল কাজই হলো ওয়েবসাইটকে সার্চ রেজাল্টের সবচেয়ে উপরে তুলে নিয়ে আসা। তবে সার্চ ইন্জিন অপটিমাইজেশন ( SEO ) সম্পর্কে  অনেক কিছু জানতে হয়। 

এটি শুরু করার আগে অনপেজ , অফপেজ , টাইটেল এবং ইমেজ অপটিমাইজেশন , কীওয়ার্ড রিসার্চ , ব্যাকলিংক এই ব্যাপার গুলো সম্পর্কে পরিপূর্ন ধারনা থাকা প্রয়োজন।

সর্বপরি SEO হচ্ছে ওয়েবসাইটের ভিজিটর আনার প্রথম পন্থা, একটা প্রবাদ রয়েছে "SEO ব্যাতিত ওয়েবসাইট চালক ব্যাতিত গাড়ির সমান"।তাহলে বুুুঝতেই পারছেন SEO কেন এত গুরুত্বপূর্ণ। 

নিচে থেকে আমাদের SEO রিলেটেড পোস্ট গুলো পড়ে আসতে পারেনঃ

  1. How to fix google search consol breadcrumb error [Blogger]
  2. On Page SEO - Submit Your website in Yandex webmaster tools.
  3. SEO ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল কিভাবে লিখবেন?[TOP-10 TIPS]
  4. Udemy এর ১৯৯ ডলারের SEO কোর্স ফ্রি নিয়ে নিন।
  5. keyword research কি? Best Keyword Research Tools
  6. ইউটিউবে কত ভিউ এ কত আয়ঃ ইউটিউব প্রতি ১০০০ ভিউতে কত টাকা দেয়?
  7. এসইওঃ কিভাবে ওয়েবসাইট ও ইউটিউব এডসেন্স একাউন্ট খুলতে হয় এবং এডসেন্স এর জন্য আবেদন করতে হয়।
  8. ওয়েবসাইট এসইওঃ কিভাবে সাইটম্যাপ তৈরি করবেন এবং গুগলে সার্চ কনসল এ সাবমিট করবেন?
  9. বাউন্স রেট কি? (Bounce Rate) কমিয়ে গুগল এ নাম্বার ওয়ান  হওয়ার উপায় 
  10. মিলিয়ন ডলার এর এসইও এর সম্পূর্ণ পেইড কোর্স ফ্রিতে নিয়ে নিন।



৪।ওয়েবসাইট স্পিড অপটিমাইজেশনঃ

    ওয়েবসাইট এর লোডিং টাইম কমিয়ে ফাস্ট করবার জন্য সবচাইতে জরুরী যে জিনিস তা হল ইমেজ অপ্টিমাইজেশন। এ ছাড়াও ফ্রি থিম ও বেশি  Widgets/plugin যুক্ত করার ফলেও ওয়েবসাইটের লোডং স্পিড কমে যায় 



    গুগল সমীক্ষায় দেখা গেছে একজন ভিজিটর একটি ওয়েবসাইট ভিজিট করার জন্য সাধারণত ৩সেকেন্ড সময় নেই।


     অর্থাৎ যদি ৩ সেকেন্ডের মধ্যে কোনো সাইট লোড না নেয় বা ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে না পারে তবে ভিজিটর বিরক্ত হয় এবং সাইট ভিজিট করা থেকে বিরত থাকেন । তাই বোঝাই যাচ্ছে ভিজিটর বাড়ানো জন্য ওয়েবসাইট স্পিডের  উপর নজর দিতে হবে। 



    ইমেজ অপ্টিমাইজেশনের জন্য ৩ টি গুরুত্বপূর্ণ টিপসঃ

    • ইমেজ শুরুতে রিসাইজ করুন ম্যানুয়ালি।
    • বাহিরের কোন টুল দিয়ে ইমেজ কম্প্রেস করুন।
    • ইমেজ কম্প্রেশনের জন্য একটা এক্সট্রা প্লাগিন ব্যবহার করুন।
    • এবং অবশ্যি অবশ্যি লেজিলোড অপশনটি এনাবল করবেন ইমেজ কম্প্রেশনের জন্য ব্যবহৃত টুল দিয়ে।


    সতর্কতাঃ


    • কোন ইমেজ কখনই ১০০ কেবি এর বেশি রাখবেন না।
    • ইমেজের রেশিওতে ৯৫৫ এর বেশি ওয়াইডথ রাখবেন না।
    • ফিচারড ইমেজের জন্য সেপারেট ইমেজ ব্যবহার করবেন।
    • সেইম ইমেজ পোস্টের ভেতর এক রেশিওতে ব্যবহার করবেন আর ফিচারড ইমেজ হিসেবে (যদি হোম পেইজে বা ক্যাটাগরি ফিডে শো করেন) ভিন্ন আর ছোট রেশিও ব্যবহার করবেন।


    ৫।কী-ওয়ার্ড রিসার্চঃ

     আপনার ওয়েবসাইটে ভালমানের ভিজিটর পেতে হলে সঠিক কি-ওয়ার্ড রিসার্চ করতে হবে। 

    কারণ আপনার আর্টিকেলের কিওয়ার্ড এর উপর নির্ভর করেই গুগলে সার্চ ফলাফল হিসেবে ফার্স্ট পেজে দেখানো হবে। 

    ধরুন আপনি এমন কিওয়ার্ড বাছাই করলেন আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইটের জন্য যে কিওয়ার্ডটি আপনার আগেই অনেকে বড় বড় ওয়েবসাইট বা ব্লগ ব্যবহার করে ফেলেছে তাহলে কিন্তু তাদেরকে টপকিয়ে আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইটটি র‍্যাঙ্ক করানো সহজ হবে না।

     তবে আপনি যদি র‍্যাঙ্ক করাতে চান তাহলে তাদের চেয়ে দিগুন ভালো আর্টিকেল লিখতে হবে। আবার আপনি এমন কিছু কিওয়ার্ড বাছাই করলেন যা কেও সে বিষয়ে সার্চ  করে না তাহলেও কিন্তু আপনার ভিজিটর পাওয়ার কোন চান্স থাকবে না।

     তাই পোস্ট করার আগে অবশ্যই কি-ওয়ার্ড রিসার্চ করে নিবেন।


    keyword research কি? Best Keyword Research Tools.alert-success

    ৭।ডাটা এনালাইসিসঃ

     ওয়েবসাইট অথরিটিদের একটি গুরুত্বপূর্ন কাজ হলে ডাটা এনালাইসিস করা । এর  মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন কোন বয়সের এবং কোন সময়ে আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটর বেশি থাকে। 

    সেই অনুযায়ী ডাটা এনালাইসিস করে পরবর্তী পোষ্ট গুলো ঠিক সেই সময় গুলোতে পাবলিশ করলে ভিজিটর সংখ্যা অবশ্যই বাড়বে। 

    এর জন্য আপনি চাইলে গুগল এ্যানালাইটিকস ব্যবহার করতে পারেন। গুগল এনালাইটিক্সের মাধ্যমে সকল তথ্য জানা যায়।

    ৭।সোসাল মিডিয়া, প্রশ্ন-উত্তর সাইট বা বিভিন্ন ব্লগে সেয়ার করাঃ

    একটি ওয়েবসাইট বা ব্লগ যখন আপনি নতুন তৈরি করবেন তখন সে ওয়েবসাইট সম্পর্কে কেউ জানে না। তাই আপনার প্রথম কাজ হবে আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইটকে মানুষের কাছে পরিচয় করিয়ে দেওয়া।

     আর মানুষের কাছে খুব সহজেই পরিচয় করিয়ে দেওয়ার জন্য সব থেকে সহজ এবং কার্যকরী উপায় হতে পারে সোশ্যাল মিডিয়া। 

    এক্ষেত্রে আপনি যদি ফেসবুক , ইউটিউব , ইন্সটাগ্রাম , টুইটার , ইত্যাদি ইত্যাদি সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকে  তাহলে খুব সহজেই আপনি আপনার ওয়েবসাইটের জন্য এইসব সোশ্যাল মিডিয়া সাইট থেকে ভিজিটর আপনার ওয়েবসাইটে প্রবেশ করিয়ে নিতে পারবেন। 


    এই জন্য আপনাদের নিয়মিত কন্টেন্টগুলো সোশ্যাল মিডিয়া সাইটে শেয়ার করে দিতে হবে। বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি ভিজিটর নিজ ওয়েবসাইটে প্রবেশ করাতে সাহায্য করে। 

    একজন টিনেজার দিনের মধ্যে ৮ - ১০ ঘন্টা সময় সোশ্যাল মিডিয়া গুলো যেমন ফেসবুক , ইউটিউব , ইন্সটাগ্রাম , টুইটার , অবস্থান করে । কাজেই আপনারা কন্টেন্টগুলো সোশ্যাল মিডিয়াগুলোতে শেয়ার করে ওয়েবসাইটের ভিজিটর  বাড়াতে পারেন।

     উত্তর পর্ব সাইটঃ  ওয়েবসাইটে ভিজিটর আনার অরেকটি চমৎকার উপায় হলো প্রশ্ন - উত্তর পর্ব সাইট। ফোরাম এবং প্রশ্ন - উত্তর সাইটগুলোতে মানুষ বিভিন্ন ব্যাপারে জানতে চেয়ে পোষ্ট করে থাকে। সেখানে ভিজিটর যে বিষয়ে জানতে চায় সে সম্পর্কে কিছু ইনফরমেশন দিয়ে আপনার ওয়েবসাইটের লিংক দিয়ে দিলে ওই সাইট গুলো থেকে ট্রাফিক আপনার সাইটে যাবে। 


    তবে খেয়াল রাখতে হবে ফোরাম সাইট কিংবা প্রশ্ন - উত্তর সাইট গুলোতে উত্তর দেয়ার সময় সেটা যেনো সঠিক নিয়মে করা হয়। অনেক ফোরাম সাইট আছে যেগুলো অন্য ওয়েবসাইটের লিংক শেয়ার করা পছন্দ করে না। তো এসকল সাইটে কাজ শুরু করার আগেই আপনাকে এদের নিয়মগুলি ভালো ভাবে পড়ে নিতে হবে। Quora তাদের মধ্যে অন্যতম প্রশ্ন - উত্তর বা ফোরাম সাইট।


    ব্লগে সেয়ার করার মধ্যমেঃ

    ওয়েবসাইটে ভিজিটর অনার আরেকটি অন্যতম উপায় হল অন্যের ব্লগ বা ওয়েবসাইটে গিয়ে কমেন্ট করা। 

    আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইটে যে ধরণের কন্টেন্ট পাবলিশ করেন সেই ধরণের ব্লগ  বা ওয়েবসাইট গুলো খুজে বের করে কমেন্ট অপশনে কমেন্ট করে সাইটের লিংক হাইপার লিংক করে দিতে হয়। এর ফলে সেই লিংকের মাধ্যমে ওই ব্লগের ভিজিটর রা আপনার ওয়েবসাইট ভিজিট করবে।

     এটি সার্চ ইন্জিন অপটিমাইজেশন ( SEO ) এর ভাষায় বলা হয় ব্যাক লিংক। 

    এর ফলে সাইটে যেমন ভিজিটর আসে তেমনি গুগল সার্চ রেজাল্টেও সাইট উপরের দিকে চলে আসে। 

    তবে ব্লগ কমেন্ট বা ব্যাংকলিংক তৈরি করার সময় খেয়াল রাখতে হবে যে সাইট থেকে আমরা ব্যাকলিংক নিচ্ছি সেটা যেনো অবশ্যই নিশ রিলেটেড হয়। তা না হলে গুগলস সেই ব্যাক লিংককে ভ্যালু দিবে না।


    ডু-ফলো ব্যাকলিংক ওয়েবসাইটের ১৫০+ তালিকা।। what is dofollow backlink? Best 150+ dofollow backlink website.alert-success

    ৮।ওয়েবসাইটে কমেন্ট করার অপশন রাখা এবং দ্রুত রিপ্লাই দেওয়াঃ

    কমেন্ট সেকশনে এংগেজ থাকলে ওয়েবসাইটের রেগুলার ভিজিটরের সংখ্যা অনেকগুন বেড়ে যায়।এজন্য সাইটের কন্টেন্ট অপশনের কমেন্ট সেকশন টা চালু করে দিতে হবে। যার ফলে ভিজিটরদের কোন কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করে আপনার কাছে জানতে চায়তে পারবে।

     তাছাড়াও তারাও বিভিন্ন মতামত প্রদর্শন করতে পারবে। আর আপনি সবসময় কমেন্টের রিপ্লাই দেওয়ার চেষ্টা করবেন।

    ৯।  হাইপার লিংক বা ইন্টারনাল লিংক সংযোজন করাঃ

    যেকোনো পোষ্টে হাইপার লিংক বা ইন্টারনাল লিংক সংযোজন করা  খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

    মনেকরা যাক, আপনি একটা আর্টিকেল লিখেছেন কিভাবে ব্লগে বেশি বেশি ভিজিটর পাওয়া যায়। কিন্তু আপনি এর আগেই কিভাবে ব্লগ একাউন্ট তৈরি করা যায় এ নিয়ে একটি আর্টিকেল লিখেছেন। আপনি চাইলে আপনি আপনার মেইন আর্টিকেল এর সাথে  কিভাবে ব্লগ একাউন্ট তৈরি করা যায় ট্যাগ করে দিতে পারেন।

     এর ফলে যা হবে, মেইন কন্টেন্ট এর জন্য আপনি তো ভিজিটর পাচ্ছেন ই এর পাশাপাশি ইন্টার্নাল লিংক করা পেজটি ভিজিট করার একটা বিরাট চান্স থাকবে।


    ১০।বাউন্স রেট চেক করাঃ 

    বাউন্স রেট সব সময় % হিসেবে প্রকাশ করা হয়। আপনার ওয়েসাইটে আসার পর মোট ভিজিটরের কতো % অন্য কোনো পেজ ভিজিট না করেই বন্ধ করে দিয়েছে”অর্থাৎ যদি আপনার ওয়েবসাইটের মোট ভিজিটর যদি হয় ১০০ জন তার মধ্যে ৬০ জন্যই আপনার হোম পেজ লোড হওয়ার পর অণ্য কোনো পেজ ভিজিট না করেই আপনার ওয়েবসাইট টি বন্ধ করে দেয় তবে আপনার ওয়েবসাইটের বাউন্সরেট হবে ৬০ % ।

     এখন আপনার কাছে প্রশ্ন আসতে পারে ওয়বেসাইটের বাউন্স রেট কত পারসেন্টের মধ্যে থাকলে ভালো হয়।

     বাউন্স রেট স্টান্ডার্ড = ৩০ % এর কম খুব ভালো = ৪১ % - ৫৫ % ভালো = ৫৬ % - ৭০ % খুব ভালো নয় = ৭০ % - ৮০ % এর বেশী খুব খারাপ = ৮০ % - ১০০ % এবার আমরা বুঝতে পারলাম একজন ভিজিটরকে শুধু ওয়েবসাইটে নিয়ে আসলেই হবে না। তাকে অবশ্যই ওয়েবসাইটে ধরে রাখার মত কন্টেন্ট পাবলিশ করতে হবে।




    শেষ কথাঃ আশা করি উপরক্ত বিষয় গুলো অনুসরণ করলে আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগের ভিজিটর আগে থেকে বৃদ্ধি পাবে।









    Next Post Previous Post
    No Comment
    Add Comment
    comment url