একাদশ শ্রেণির ভর্তির আবেদন ৮ থেকে ১৫ জানুয়ারি !
গত বৃহস্পতিবার ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের একাদশে ভর্তির নীতিমালা প্রকাশ করা হয়েছে। একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য আগামী ৮ জানুয়ারি থেকে ১৫ পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন শিক্ষার্থীরা আর ক্লাস শুরু হবে ২ মার্চ।
আগের ধারাবাহিকতায় এবারও অনলাইনে আবেদন করতে হবে, যে সময়সীমা শেষ হবে ১৫ জানুয়ারি।
ঢাকা ছাড়াও আরও আট বোর্ড এ নীতিমালা অনুসরণ করে ভর্তি কার্যক্রম চালাবে। কারিগরি ও মাদ্রাসা বোর্ডও একাদশে একই প্রক্রিয়া অনুসরণ করবে।
এবারও এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের ভর্তি কার্যক্রম চলবে।
২০১৯, ২০২০ ও ২০২১ সালে যারা এসএসসি পাশ করেছে, তারা ভর্তির আবেদন করতে পারবেন।
XI CLASS ADMISSION SYSTEM | |
অনলাইন আবেদন শুরু | ০৮ জানুয়ারি 2022 |
---|---|
আবেদনের শেষ তারিখ | ১৫ জানুয়ারি 2022 |
একাদশ শ্রেণীর ভর্তির ফলাফল 1ম মেধা তালিকা প্রকাশ | 29 জানুয়ারী 2022 |
কলেজ নির্বাচিত তালিকা | 30 জানুয়ারি থেকে 06 ফেব্রুয়ারি 2022 |
দ্বিতীয়বার কলেজ মাইগ্রেশন এবং আবেদন | 24 ফেব্রুয়ারি 2022 |
1ম মাইগ্রেশন ফলাফল মেধা তালিকা | 10 ফেব্রুয়ারি 2022 |
3য় বার কলেজ মাইগ্রেশন এবং আবেদন | 13 ফেব্রুয়ারি 2022 |
2য় মাইগ্রেশন ফলাফল | 15 ফেব্রুয়ারি 2022 |
ক্লাস শুরু | 02 মার্চ 2022 |
আবেদন ফি | 150 টাকা। |
আবেদনের লিংক | http://www.xiclassadmission.gov.bd/ |
এছাড়া বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ২০১৯, ২০২০ ও ২০২১ সালে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরাও ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন।
কোভিড মহামারীতে বিলম্বিত এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা নেওয়ার কারণে এবার একাদশে ভর্তিও পেছাল অনেকটা সময়।
সাধারণত ফেব্রুয়ারি-মার্চে পরীক্ষা শেষে জুলাইয় ক্লাশ শুরু হয়; এবার যা হবে মার্চে।
ভর্তির নীতিমালায় বলা হয়, একজন শিক্ষার্থী যতগুলো কলেজে আবেদন করবে, সেগুলোর মধ্য থেকে মেধা, কোটা (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) ও পছন্দক্রমের ভিত্তিতে একটি কলেজে তার অবস্থান নির্ধারণ করা হবে।
মহামারীর কারণে এ বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা নয় মাস পিছিয়ে ১৪ নভেম্বর শুরু হয়।
বৃহস্পতিবার এ পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়।
করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে হওয়া এবারের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাশ করেছে ৯৩ দশমিক ৫৮ শতাংশ শিক্ষার্থী, যা এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ।
তবে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের এসএসসি পাশ করা শিক্ষার্থীরা ২২ বছর বয়সেও আবেদন করতে পারবে। আর যেসব শিক্ষার্থী এসএসসি ও দাখিলের ফল পুনঃনিরীক্ষার আবেদন করবে তারা ১৫ জানুয়ারির মধ্যে আবেদন করলেও ফল পরিবর্তনকারীরা ২২ ও ২৩ জানুয়ারি আবেদন করতে পারবে। ২৪ জানুয়ারি পছন্দক্রম পরিবর্তনের সুযোগ দেওয়া হবে। আর ২৯ জানুয়ারি প্রথম দফায় নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ফল প্রকাশ করা হবে।
এতে আরও বলা হয়, ৩০ জানুয়ারি থেকে ৬ ফেব্রুয়ারি শিক্ষার্থীদের সিলেকশন নিশ্চয়ন করতে হবে। সিলেকশন নিশ্চয়ন না করলে তাকে পুনরায় ফিসহ আবেদন করতে হবে। ৭ ও ৮ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় পর্যায়ের আবেদন নেওয়া হবে। পছন্দক্রম অনুযায়ী প্রথম মাইগ্রেশনের ফল এবং দ্বিতীয় পর্যায়ের আবেদনের ফল প্রকাশ করা হবে ১০ ফেব্রুয়ারি। ১১-১২ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় পর্যায়ে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের সিলেকশন নিশ্চয়ন করতে হবে। এ সময়ের মধ্যে সিলেকশন নিশ্চয়ন না করলে আবেদন বাতিল হবে। ১৩ ফেব্রুয়ারি তৃতীয় পর্যায়ের আবেদন নিয়ে পছন্দক্রম অনুযায়ী দ্বিতীয় মাইগ্রেশনের ফল এবং তৃতীয় পর্যায়ের আবেদনের ফল প্রকাশ করা হবে ১৫ ফেব্রুয়ারি। ১৬ ও ১৭ ফেব্রুয়ারি তৃতীয় পর্যায়ে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের সিলেকশন নিশ্চয়ন করতে হবে। এ সময়ের মধ্যে সিলেকশন নিশ্চয়ন না করলে আবেদন বাতিল হবে।
আবেদন ও নির্বাচন পর্ব শেষে ১৯ থেকে ২৪ ফেব্রুয়ারি শিক্ষার্থীদের ভর্তি করা হবে। এবার আবেদন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫০ টাকা। নীতিমালায় ঢাকা ও জেলা পর্যায়ে বাংলা ও ইংরেজি ভার্সনে ভর্তি ফিসহ সব ব্যয় নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী, ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার ক্ষেত্রে বাংলা ও ইংরেজি ভার্সনে ৫ হাজার টাকা, ঢাকা মহানগরের বাইরে ৩ হাজার, জেলা পর্যায়ে ২ হাজার আর উপজেলা ও মফস্বলে ১ হাজার ৫০০ টাকা আদায় করা যাবে। নির্ধারিত ফির বেশি অর্থ আদায় করা যাবে না। এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে সেশনচার্জ ও ভর্তি ফি গ্রহণ করা যাবে। উন্নয়ন ফি আদায় করা যাবে না।
আরো পড়ুনঃ স্মার্ট ক্যারিয়ার - মোঃ সোহান হায়দার PDF Book
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, সারা দেশে একাদশ শ্রেণিতে লেখাপড়া হয় এমন কলেজ ও মাদ্রাসা আছে ৮৮৬৪টি। অন্যদিকে সরকারি ও বেসরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট আছে সাড়ে ৫০০। কলেজ ও মাদ্রাসায় আসন আছে ২৪ লাখ ৪০ হাজার ২৪৯টি। আর পলিটেকনিকে আছে ১ লাখ ৬৯ হাজার। সবমিলে এ স্তরে আসনসংখ্যা ২৬ লাখ ৯ হাজার ২৪৯টি। বিপরীত দিকে এসএসসি, দাখিল এবং এসএসসি ও দাখিল ভোকেশনালে মোট পাশ করেছে ২০ লাখ ৯৬ হাজার ৫৪৬ জন। এর মধ্যে এসএসসিতে ১৬ লাখ ৮৬ হাজার ২১১ জন, দাখিলে ২ লাখ ৭২ হাজার ৭২২ জন আর কারিগরি শাখা থেকে ১ লাখ ৩৭ হাজার ৬১৩ জন পাশ করেছে।
Scours: bdnews24.com & Jugantor