শীতে গাজরের হালুয়া কেন খাবো? ৭ টি কারণ
দারুন স্বাদ, লোভনীয় রং আর স্বাস্থ্য উপকারিতায় গাঁজরের হালুয়া হতে পারে আপনার জন্য চমৎকার শীতকালীন খাবার। অনেক পরিবারে এটি ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে গ্রহণ করা হয়।
শীতকালীন এ সবজিটিতে প্রচুর সাদা চিনি রয়েছে মনে করে অনেকে এটি গ্রহণ করতে আগ্রহী নয়। তবে আপনি ইচ্ছে করলে এর চিনির পরিমাণটি পরিমিত বা শরীরের পক্ষে উপযোগী করে নিতে পারেন। ব্যবহার করতে পারেন এতে থাকা অন্য উপাদানগুলো। কিংবা এটি খেতে পারেন অন্য কোনোভাবে।
১। গাঁজরের তৈরি ডেজার্ট অনেক পুষ্টিকর। এতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন ‘এ’, ‘সি’, ‘কে’ এবং ফাইবার। ভিটামিন ‘এ’ দৃষ্টিশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে। এসব বিষয় বিবেচনায় নিলে দেখবেন, মুহূর্তেই নিঃশ্বেষ হয়ে গেছে বাটিভর্তি হালুয়া।
২। ক্যালসিয়ামের সঙ্গে দুধের মিশ্রনে হতে পারে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার। সেই হিসেবে গাঁজরের সঙ্গে কাজু বাদাম আর কিশমিশ মিশিয়ে তৈরি করতে পারেন এ খাবার আইটেম। এতে তৈরি হবে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টও।
৩। চর্বি পেতে হলে গাঁজরের সঙ্গে মিশিয়ে নিন অর্গ্যানিক ঘি। যদিও ঘি খুব স্বাস্থ্যকর তবে যদি আপনি উপাদানটি বেশি না চান তবে এতে মেশাতে পারেন কেবল এক টেবিল চামচ ঘি।
৪। মৌসুমী খাবার সবসময় উপকারী। যেমন, শীতকালে সূর্যের ইউভি রশ্মি থেকে নিজেদের রক্ষার জন্য সানস্ক্রিন ব্যবহার করি। গাঁজর একটি বিটা-ক্যারোটিন সমৃদ্ধ সবজি যা ইউভি রশ্মিকে অবরোধ করে, ত্বককে রক্ষা করে ক্ষতিকর এই উপাদান থেকে। এ জন্য শীতে গাঁজরের হালুয়াকে করতে পারেন বাধ্যতামূলক।
৫। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো ঘরে তৈরি গাঁজরের হালুয়া বাইরের খাবারের চেয়ে অন্তত স্বাস্থ্যকর। ফলে ১০০ গুণ পুষ্টি সমৃদ্ধ এ খাবারটি গ্রহণে আর কোনো যুক্তির প্রয়োজন পড়ে না।
৬। থেঁতলানো গাঁজরকে খারাপ মনে করার কোনো কারণ নেই। এতে রয়েছে ভিটামিন ‘ডি’ যা কেবল আপনার শরীর থেকে বিষাক্ত উপাদান দূর করতে সাহায্য করবে না, আপনার দৃষ্টিশক্তিও উন্নত করবে। এতে নেই কোনো ক্যালোরিও। ফলে এ সংক্রান্ত সমস্যার নেই কোনো কারণও।
৭। ওপরের সমস্ত গুণাগুণ যদি বাদ দেওয়া হয়, তবু শুধু ত্বকের পরিচর্যায়ও আপনি গাঁজরের হালুয়া খেতে পারেন। শীতকালে ত্বকের শুষ্কতা ও অনুজ্জ্বল ভাব কাটিয়ে এটি আপনার ত্বককে করে তুলবে উজ্জ্বল প্রাণবন্ত।
এগুলো পড়ে দেখতে পারেনঃ