স্মার্ট কার্ড স্ট্যাটাস চেক করার নিয়ম
- অনলাইনের মাধ্যমে
- এসএমএস এর মাধ্যমে ( এখন বন্ধ আছে)
স্মার্ট কার্ড কি?
সহজ কথা বলতে গেলে স্মার্ট কার্ড হলো সাধারণ ভোটার আইডি কার্ডের একটি ডিজিটাল সংস্করণ। এতে তথ্য ডিজিটাল মাধ্যমে সংরক্ষণ করা হয়। স্মার্ট কার্ড খুবই ইউনিক এবং নিরাপদ এটি সাধারণ ভোটার আইডি কার্ডের মত এটি কপি বা ডুপ্লিকেট করা যায় না।
২০১৬ সাল থেকে ডিজিটাল বাংলাদেশ করার লক্ষ্যে ইভিএম ভোটার মেশিন দ্বারা ভোট গ্রহণের জন্য ডিজিটাল স্মার্ট কার্ড তৈরীর কার্যক্রম শুরু করা হয়। Bangladesh National Identity Registration Wing (NIDW) – স্মার্ট কার্ড প্রদান করে থাকে।
স্মার্ট কার্ডের প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এতে থাকা মাইক্রোচিপ, যা একজন নাগরিকের ছবি, নাম,পরিচয় এবং বায়োমেট্রিক তথ্য সহ ৩২ প্রকার সিটিজেন ডাটা সংরক্ষণ করতে সক্ষম।
স্মার্ট কার্ড কবে পাবো?
স্মার্ট কার্ড একটি ব্যয়বহুল প্রকল্প হওয়ায় বর্তমানে এত সংখ্যক ভোটারকে স্মার্ট কার্ড প্রদান করা সম্ভব হচ্ছে না। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে স্মার্ট কার্ড প্রদানে ১-২ বছর সময় লাগতে পারে। তাছাড়া যারা পুরাতন ভোটার স্মার্ট কার্ড পাওয়ার জন্য তাদের আবার বায়োমেট্রিক তথ্য দিতে হবে।
বাংলাদেশে জনসংখ্যা এখন প্রায় ১৭ কোটি; ভোটার সংখ্যা তার ৭০ শতাংশ।এবার হালনাগাদের পর চূড়ান্ত ভোটারসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১ কোটি ৯১ লাখ ৯১ হাজার ৪৪০।
দেশের মোট ভোটারের মধ্যে ৬ কোটি ৪ লাখ ৪৫ হাজার ৭২৪ জন পুরুষ, ৫ কোটি ৮৭ লাখ ৪ হাজার ৮৭৯ জন নারী এবং ৮৩৭ জন হিজড়া ভোটার রয়েছেন।
স্মার্ট কার্ড ডাউনলোড কিভাবে করে?
স্মার্ট কার্ড মাইক্রো চিপ সংযুক্ত একটি ডিজিটাল কার্ড। স্মার্ট আইডি কার্ড নির্বাচন কমিশন কর্তৃক প্রদান করা হয়ে থাকে। তাই অনলাইন থেকে স্মার্ট কার্ড ডাউনলোড করার কোন সুযোগ নেই। তবে স্মার্ট কার্ডের নাম্বার সহ জাতীয় পরিচয় পত্রের অনলাইন কপি ডাউনলোড করে তা প্রিন্ট এবং লেমেনেটিং করে ব্যবহার করা যায়।
স্মার্ট কার্ড হারিয়ে গেলে অথবা নষ্ট হয়ে গেলে Smart Card Re-Issue করার আবেদন করতে হয়। অনলাইনে স্মার্ট কার্ড রি-ইস্যু করার জন্য আবেদন করা যায়। আপনি চাইলে আপনার সংশ্লিষ্ট নির্বাচন কমিশন অফিসে গিয়েও আবেদন করতে পারবেন।
- জাতীয় পরিচয় পত্রের অনলাইন কপি ডাওনলোড করার নিয়ম ( Writing)